জাতিসংঘ-এর অঙ্গ সংগঠন UNESCO এর সারাবিশ্বে ২১ টি Resource Distribution and Training Centre (RDTC) রয়েছে। টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ঢাকা তার মধ্যে অন্যতম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টিকিউআই-২ প্রকল্প কর্তৃক টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ঢাকা ইংরেজি বিষয়ের ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্সি’র মর্যাদা পেয়েছে। এ এক অনন্য অর্জন।
জাতীয় পর্যায় শিক্ষা ক্ষেত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রশিক্ষণসমূহ (যেমন: এডভান্সড আইসিটি মাস্টার ট্রেইনার, অটিজম সচেতনতা বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ, লাইফ স্কিল এডুকেশন বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার ট্রেনিং) এখানে হয়ে থাকে।
এ কলেজের শিক্ষকরা জাতীয় পর্যায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণী ফোরামে কাজ করে আসছেন। যেমন: প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের শিক্ষাক্রম প্রণয়ন; এনসিটিবি’র পুস্তক রচনা; শিক্ষক নির্দেশিকা প্রণয়ন; মহামাণ্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুবাদ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাউন্সিল ও ফোরামে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায় এ কলেজের অবদান অনস্বীকার্য। যেমন: সরকারের শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস তৈরি, ইন্টারএক্টিভ ডিজিটাল বুক তৈরি, মাধ্যমিক স্তরের ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়ালের স্ক্রিপ্ট রচনা ইত্যাদি।
এ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা প্রশাসনে সুনামের সাথে কাজ করছেন।
বিজ্ঞান লেখক আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, ঔপন্যাসিক কাজী ইমদাদুল হক, লেখিকা ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী এ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। বিশিষ্ট লেখক আবুল ফজল এ কলেজের ছাত্র ছিলেন।
স্বাধীনতা উত্তর মাধ্যমিক শিক্ষাকে উন্নয়নের যে সমস্ত প্রকল্পগুলো কাজ করেছে তার প্রতিটিতেই টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে SEDP, SESDP, PROMOT এর মত প্রকল্পে।
বাংলাদেশে প্রথম ফ্লিপড ক্লাস রুমের ধারণা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রয়োগ ও বিস্তরণ করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ১০০টি পাঠের জন্য ই-ম্যাটেরিয়াল প্রস্তুত করা হয়েছে যা ক্লাসের পূর্বেই শিক্ষার্থীদের মেমরী কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হয় পাঠ সম্পর্কে পূর্ব ধারণা পাওয়ার জন্য। ভিডিওগুলো কলেজের ইউটিউব চ্যানেলে আছে।